Sunday, May 17, 2015

বিভাজন

আমি ভালো ছাত্ৰী ছিলাম, শেখার ইচ্ছা প্ৰবল ছিল মনে. তুমি শেখালে আমি শিখেও নিতাম তারাতারি. তবে তোমার জহুরির চোখ নেই, তুমি তেমন গুরুও নও, অথবা তেমার কাছে আমি এক নিতান্তই অকেজো, নির্গুন...তুমি আমায় শিক্ষাদানের যোগ্য মনেই করোনি কখনো. আগেই ভেবে নিয়েছ পারবনা. হাতে ধরে তাই শেখাওনা কিছুই কোনোদিন. আমায় যে এত অযোগ্য ভাব তাতে আমি খুব আহত হই. হয়ত সত্যিই আমার কোনো যোগ্যতা নেই.
এতদিনেও তুমি আমায় নিজের ভাবতে পারলেনা. দেওয়ালটা শেষে রয়েই গেল আমাদের মধ্যে. আমরা পৃথকই রইলাম.এক হলামনা. তুমি দূরের হয়েই রইলে, আমিও আর কাছের হতে পারলামনা.
সবাই কত ঘুরতে যায়. আমি সবার ছবি দেখি. নিজের ছবি তোলা হবেনা জানি. কথা দিয়েছিলে, রাখার জন্য নয়, কেবল স্তোতবাক্য হিসেবে বলেছিলে. আমি বুঝে গেছি এতদিনে.কম চেষ্টা করিনি. হয়ত অনেক বেশী চেষ্টা করে ফেলেছি বলেই এত ক্লান্তি, হয়ত সে কারণেই আর বলিনা. বলতে ইচ্ছা করেনা. আমি জানি আমার কোনো ইচ্ছার কোনো দাম তোমার কাছে নেই. তাই তোমার ইচ্ছাগুলোও হয়তো আজকাল আর আমার কাছে অত বেশী প্ৰকটতা পায়না. এই তুমি-আমি বিভাজনের  ফলেই হয়ত জীবন খুবই বেরঙীন হয়ে যাচ্ছে. . .
বেরানো তো শুধুই স্থান পরিবর্তন নয়, রোজনামচা থেকে বেরিয়ে একে অপরকে বারতি সময় বারতি সাহচর্য একটু বেশী সঙ্গ দেওয়া. যাতে রোজকার সময়ের ঘাটতিগুলো পুষিয়ে নেওয়া যায়. মুখোমুখি বসে না বলা সবটুকু বুঝিয়ে দেওয়া আর বুঝে নেওয়া যায়.
আমি তোমার কাছে এত দামী কিছু নই. তুমি অনায়াসেই আমার যাবতীয় ইচ্ছেকে অদরকারী ঘোষণা করে ছিঁরে ফেলতে পারো, আমার সব কষ্টকে খারাপলাগাগুলোকে অবহেলা করতে পারো, আমায় দেওয়া সকল প্ৰতিশ্ৰুতি ভেঙে ফেলতে পারো.
তোমার স্তুতিবাক্য অনেক শুনেছি, আর ইচ্ছা করেনা শুনতে..তোমাকে কিছু বোঝানোর তাগিদটাও মরে এসেছে প্ৰায়. এখানে আমি নিজের সাথে নিজেই কথা বলি. আর কারো জন্যে এখানে আমি একটি বর্ণও লিখিনি কখনো.
তোমার যা কিছু তোমারই থাক, আমারটুকু আমার থাক. তুমি আমার সাথে একটি পাও এগোতে চাওনা.আমাদের কোনো ভবিষ্যত নেই...

No comments:

Post a Comment