Tuesday, August 9, 2016

সমাপ্তির এই বধ্যভূমিতে,
মুখোমুখি দাঁড়াবার পথ নেই বাকি।
এখানে এসে দাঁড়াও পথিক,
দেখো নিস্তব্ধ এই পাষানমাটি।
এখানে ছড়ানো শুধু
কাটাকুটি শব্দের অবারিত লাশ।
কুড়িয়ে নাও কবিতার ধ্বংসাবশেষ।
মানুষের চেয়েও সস্তা যা কিছু,
তাকেই প্রতিশ্রুতি জেনো।
ঠোঁট রাখো শবদেহের বুকে,
শুষে নাও অস্তমিত হৃদস্পন্দন।
এখন অার খিদে নেই,
তৃষ্ণা নেই, কাম নেই, মোহ নেই।
অনন্তের এই বধ্যভূমিতে
তাকিয়ে দেখো পথিক
দিকে দিকে উদীয়মান সূর্যতাপ
এখানে শুদ্ধ হওয়ার ব্রতে
জ্বলছে নারীত্বের সব অভিশাপ।

Monday, August 8, 2016

এভাবেই নেমে এস মদ্যপ রাত,
এভাবেই খুলে রাখো অলিন্দ
রঙহীন বালিশের পাশে।
রক্তিম অাবেশ মেখে
হুঁশহীন হওয়াও কঠিন।
তোমায় জড়াবো বলে
খুলে ফেলি দ্বিধাহীন
বিষাদের অাঁচল,
নিষাদের গোপনতর বেশ।
কিছু কিছু সঙ্গম
সুরাপায়ী শব্দের মতো,
ইন্দ্রিয়প্রবণ নেশাতুর মৃত্যুহীন।

এভাবেই বৃষ্টি কুড়িয়ে নিয়ে যাক
অধরা সব চুম্বনের স্মৃতি।
ওষ্ঠ অধরের নিথর শবদেহ
অাগুন পায় পশ্চিম অাকাশে,
অস্তগামী সূর্য্যের কাছে।

এভাবেই নেমে এস মদির রাত।

Tuesday, July 19, 2016

শেষ অাদরের রঙ ফিকে হয়ে অাসে,
যেমন করে সন্ধে নামে
কুমারী নদীর অাগলহীন বুকে।
সব দাগ ভুলে অরব হতে চায় পিছুটান।
ছায়াও মুছে ফেলে ললাটলিখন,
তারপর?
নদী অভিসারে অাসে শব্দহীন হয়ে
কবির কাছে শব্দঋণ নিয়ে,
বিবস্ত্র, লজ্জাহীনা, কাঙালীনি, রজঃস্বলা
অাদরহীন রক্ত হারায় পরিচিতি,
অাপামর জলস্রাবে।

একমাত্র অভিসারিকাই জানে,
অালিঙ্গনে অালিঙ্গনে
কবি ঢেলে দেয় অাদুরিলগ্নে
নদীগর্ভে অমর শব্দবীজ।

Saturday, July 16, 2016

নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছি দেখ।
চামড়ার ভিতরে ক্লেদমাংসহীন,
অবিকল গুটিয়ে যাচ্ছে তৃষিত শব্দেরা।
এত তৃষা অাসে কোথা থেকে?
মদমত্ত প্রেম থেকে?
মরোণত্তর জমি থেকে?
গর্ভভেদী অাকুতি থেকে?
জানা নেই, জানা নেই,
প্রকাশ জানা নেই।
গুটিয়ে নিয়েছি তাই।
কোষে কোষে,
শিরায় শিরায়,
মেরুদণ্ডহীনতা,
ওত্ পেতে বসে থাকে,
শুধুই জড়ায়,
কামুক প্রেমিকের মতো।
জারিত হতে থাকি
হৃদযোনীরসে, মৌনতৃষায়,
অমানিশায়।
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি দেখ
অবিনশ্বর, নিরুদ্ধ কুন্তলীতে।

Friday, July 15, 2016

কারোর কারোর কাছে ফেলে অাসা যায়,
বেহিসাবি পাগলামি, মধ্যরাতের চাঁদ,
মৃদুমিহি বর্ষণ, অাদুরিয়া মেঘ, মোহনিয়া ঘুম।
ব্রম্হজ্ঞানী তোমাকে,
যুবতী কবিতা দিতে পারি,
অঘ্রানি শব্দের ওম দিতে পারি,
মৌন সাধনায় সঙ্গ করো যদি।
কারোর কারোর কাছে রেখে অাসা যায়,
মৌনমুখরতা, সহজীয়া নীরবতা,
মেয়েলি নিস্ছলতা,গাঢ় মরসুম।
এখানে এখন থমকে অাছে মেঘ।
চোখের পাতায়,
যতটুকু নাব্যতা স্পর্শ করা যায়,
যতটুকু নাভিমূল পার হলে
যৌবন ফুটে ওঠে কৃষ্ণচূড়ায়,
এখানে সে শীতঘুমে থাকে।
বর্ষা এখানে নেহাত স্থবির।
এখানে কোনো দেহ নেই,
দেউলিয়া লাশ,
ফ্যাকাসে সাদা ঠোঁট
 হাওয়ায় কাঁপে তিরতির,
গান ভাঙে বিবাগি নদীর।
এখানে থমকে গতিবেগ।

মেঘ তুমি ঘন হও,
গাঢ় হও,
প্রসববতী হও।
অাকাশের বুক চীরে
গর্জীয়ে ওঠো প্রসূত শিত্কারে।
এখানে জন্ম নিক,
তোমার অতলান্ত বর্ষণবীজ।
বজ্রগর্ভ পার করে,
সব কবি হোক বিপ্লবী।

Thursday, July 14, 2016

নিঃশব্দের এই উপত্যকায়
তাকিয়ে দেখো।
এখানে ভীড় নেই।
মেঘের অাড়াল সরালে
তুমি নিঃশ্বাসের গভীরতা দেখতে পাবে।
এখানে এখন ক্ষীদে নেই,
মৃতদেহের সংরক্ষণ অাছে।
অপলক তাকিয়ে দেখ,
তোমার চাহনিতে
বধ্যভূমিও সবুজ হয়ে ওঠে।
নিস্তব্ধের এই উপত্যকায়,
মৌনতা রঙ মেখে
তোমার অামি
ফিকে থেকে ফিকেতর হতে থাকে।
তুৃমি অাসবে
ঠোঁটের প্রান্তে প্রবাহমান চুম্বন
গাঢ় সঙ্গমের মতো মোহ
বাসা বাঁধবার মতো দৃঢ় কোনো শব্দ নিয়ে।
মিলন এখানে এখনো অপেক্ষায়,
মৌন কোনো কবিতা ভাসে,
বায়বীয় উপত্যকায়।