Tuesday, April 28, 2015

মাঝরাতে…

বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করার উপায় আমার জানা নেই. ঘুমটা ভাঙল এক দুঃস্বপ্নের রেশ চোখে মেখে. পাশে শোয়া ছিল যে জন সে আপন আত্মমগ্নতায় টের পেল না আমার হঠকারিতার কারণ. সে একে রাগ, অভিমান বা আর যাবতীয় কিছু অদরকারি আবেগ বলে ঠাওর করল এবং নিজের স্থিতাবস্থায় মন দিলো. বিশেষ কাছের মানুষ পাশে থাকলেও যে এতটা নিঃসঙ্গ লাগতে পারে তা আজই টের পেলাম. কাউকে দোষী করে কাজ নেই.চেয়ে নিলে হত হয়ত বা. কিন্তু জীবনে যা কিছুকে আমি আমার সহজ ও স্বাভাবিক  পাওনা বলে জানি তা ভিক্ষুর মতন চাইতে আমার যে শুধু লজ্জা করে তাইই নয়, তার সাথে আমার প্রবল ঘেন্নাও ধরে, নিজের উপর, সম্পৰ্কের মেকী রূপের উপর. আমার মন তখন অসম এক বিদ্রোহ শুরু করে.

যে শয্যা অনায়াসে অভিসারিকার পুষ্পশয্যা হতে পারত তাতে যদি অনাদরের কাঁটা বিঁধে থাকে তখন ঘুম তো বহুদূর, তাতে গা ঠেকানোও মুশকিল হয়ে পরে. এতবছর পরেও কেউ তোমার  মন না বুঝলে তোমার মনটা বেশী জটিল না সেই ব্যক্তি বেশী নির্বোধ এই তর্কের চেয়ে বরো হয়ে ওঠে এক নির্লিপ্ত বিষন্নতা. প্রকৃত নিদ্রামগ্ন যে জন, তার নিদ্রাভঙ্গ করার স্পৃহা রাখিনা. পাশ থেকে উঠে যেতে ইচ্ছে করে, জোর করে গায়ে এসে পরা এমন একাকিত্বকে ত্যাগ করে স্বতন্ত্ৰ হতে ইচ্ছে করে, স্থানাভাবে করা হয়না কোনোটাই. শুধু কাঁটার খোঁচা খেতে থাকি বসে বসে.. ক্ষতগুলি আপনি রক্তাক্ত হতে থাকে, উপশমের উপায় থাকেনা, আর ঘুমও আসেনা..কবিগুরুকে আঁকরে ধরে থাকি, প্রার্থনা করি সহ্যশক্তি লাভের, বেদনালাঘবকারী ঘুমের. কোনোটাই ওপরমহলের মন্জুরী পায়না. আমি দহনের ঠিক মাঝখানে বসে রাত্রিযাপন করি. আমি ভিক্ষাবৃত্তি জানিনা. তার দাম দিতে জানি.
সে খুব ন্যায্যমূল্য নয়. সেসবত কাহিনী সুখের নয়... 

No comments:

Post a Comment